শেয়ালের বুদ্ধি – ছোটদের মজার গল্প

শেয়ালের বুদ্ধি – ছোটদের মজার গল্প

গভীর বনের ধারে গাছগাছালি আর ঝোপঝাড়ে ঘেরা একটা পুকুর। সেই পুকুরে বাস করে এক কচ্ছপ, আর বড় একটা গাছের গোড়ার গর্তে এক শেয়াল। দু’জনের মধ্যে ভারি বন্ধুত্ব।

একদিনের কথা। তারা সুখ-দুঃখের গল্পগাছা করছিল। সেই মুহূর্তে আচমকা সেখানে লাফিয়ে পড়লো এক গেছো বাঘ। ক্ষিপ্র গতির ধূর্ত শেয়াল বাউলি মেরে সটকে পড়লো। কিন্তু চাকা লাগানো গোল চাকতির মতো কচ্ছপ তো, গড়াতে গড়াতে পুকুরের দিকে যেতেই তার ওপর হামলে পড়ে গেছো বাঘ। পা দিয়ে তাকে চেপে ধরে ঘাড় মটকাতে গিয়ে দেখে ভারী বজ্জাত আর কৌশলী তার শিকার। ঘাড় নেই, গলা আছে—তবে সুরুত করে তাকে শরীরের ভিতর লুকিয়ে ফেলে। কি করে কচ্ছপটাকে খাবে, বাঘ তার কোনো কায়দা করতে পারে না। কচ্ছপের পিঠের আবরণ এতো শক্ত যে তাতে দাঁত ফোটে না। নখ বসে না। কোন রকমে জুত করতে না পেরে বাঘ এদিক-ওদিক তাকায়। উপায় খোঁজে। শেয়াল তখন আপন ডেরার নিরাপদ আশ্রয় থেকে মুখ বার করে একটু ফেচকি হাসে।

তারপর বলে, মামা, তুমি এক নচ্ছার জীবকে ধরেছো। এ জিনিস খেতে ভালো, একেবারে মুরগির মাংসের স্বাদ পাবে। তবে কিনা, ওই খোসা নরম করার কায়দাটা না জানলে শত চেষ্টা করেও জিহ্বার সুখ পাবে না।

বাঘ বলেঃ ভাগ্নে, জলদি বলনা ছাই, এ জিনিস খাওয়ার কায়দাটি কী? আমার আর তর সইছে না।

শেয়াল : ও জিনিসের খোসা নরম করার একটাই উপায়। ওকে পানিতে ফেলে দাও। খানিকক্ষণ ভিজলে খোসা নরম হয়ে ভেসে উঠবে। তখন টেনে এনে মজাসে খাও।
বোকা বাঘ তাই করে। কচ্ছপ দ্রুত জলে মিলিয়ে যায়।

শেয়াল বলে : মামা, বসে বসে অপেক্ষা কর। তোমার খাবার তৈরি হয়ে ভেসে উঠবে।।

শেয়াল বন্ধুকে বাঁচাতে পেরে খুব খুশি। গিন্নিকে বলে : বউ, একটু সরষের তেল দে। নাকে দিয়ে ঘুমাই। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেব। আর বুদ্ধ বাঘের পিণ্ডি চটকাবো।

No comments