গাঁয়ের পাঠশালার বুড়ো পণ্ডিতমশাই – সৈয়দ মুজতবা আলী

গাঁয়ের পাঠশালার বুড়ো পণ্ডিতমশাই – সৈয়দ মুজতবা আলী

গাঁয়ের পাঠশালার বুড়ো পণ্ডিতমশাই হাই তুললেই তুড়ি দিয়ে করুণ কণ্ঠে বলতেন, ‘রাধে গো, ব্রজসুন্দরী, পার করে, পার করো।’ বড় হয়ে মেলা হিন্দী উর্দু পড়েছি, নানা দেশের নানা লোকের সঙ্গে আলাপচারি হয়েছে কিন্তু পার করো, পার করো বলে ঠাকুরদেবতাকে স্মরণ করতে কাউকে শুনিনি।

শতদ্রু, বিপাশা, ইরাবতী, চন্দ্রভাগা, বিতস্তা পার হয়ে এতদিন বাদে তত্ত্বটা বুঝতে পারলুম। নামগুলো ছেলেবেলায় মুখস্থ করেছি, ম্যাপে ভালো করে চিনে নিয়েছি আর কল্পনায় দেখেছি, তাদের বিরাট তরঙ্গ, খরতর স্রোত। ভেবেছি আমাদের গঙ্গা পদ্মা মেঘনা বুড়ীগঙ্গা এনাদের কাছে ধূলিপরিমাণ। গাড়ি থেকে তাকিয়ে দেখে বিশ্বাস হয় না, এরাই ইতিহাস ভূগোলে নামকরা। মহাপুরুষের দল। কোথায় তরঙ্গ আর কোথায় তীরের মত স্রোত! এপার ওপার জুড়ে শুকনো খাখা বালুচর, জল যে কোথায় তার পাত্তাই নেই, দেখতে হলে মাইক্রোস্কোপ টেলিস্কোপ দুইয়েরই প্রয়োজন। তখন বুঝতে পারলুম, ভবযন্ত্রণা পশ্চিমাদের মনে নদী পার হবার ছবি কেন এঁকে দেয় না। এসব নদীর বেশীর ভাগ পার হবার জন্য ঠাকুরদেবতার তো দরকার নেই, মাঝি না হলেও চলে। বর্ষাকালে কি অবস্থা হয় জানিনে, কিন্তু ঠাকুরদেবতাদের তো আর কিস্তিবন্দি করে মৌসুমমাফিক ডাকা যায় না; তিন দিনের বর্ষা তার জন্য বারো মাস চেল্লাচিল্লি করাও ধর্মের খাতে বেজায় বাজে খর্চা।

গাড়ি এর মাঝে আবার ভোল ফিরিয়ে নিয়েছে। দাড়ি লম্বা হয়েছে, টিকি খাটো হয়েছে, নাদুসনুদুস সালাজীদের মিষ্টি মিষ্টি ‘আইয়ে বৈঠিয়ে’ আর শোনা যায় না। এখন ছ’ফুট লম্বা পাঠানদের ‘দাগা, দাগ, দিলতা, রাওড়া, পাঞ্জাবীদের ‘তুসি, অসি’, আর শিখ সর্দারজীদের জালবন্ধ দাড়ির হরেক রকম বাহার। পুরুষ যে রকম মেয়েদের কেশ নিয়ে কবিতা লেখে এদেশের মেয়েরা বোধ করি সর্দারজীদের দাড়ি সম্বন্ধে তেমনি গজল গায়; সে দাড়িতে পাক ধরলে মরসিয়া-জারী গানে বার্ধক্যকে বেইজ্জৎ করে। তাতে আশ্চর্য হবারই বা কি? তেয়োফিল গতিয়েরের এক উপন্যাসে পড়েছি, ফরাসীদেশে যখন প্রথম দাড়িকামাননা আরম্ভ হয় তখন এক বিদা মহিলা গভীর মনোবেদনা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘চুম্বনের আনন্দ ফরাসী দেশ থেকে লোপ পেল। শ্মশ্রুঘর্ষণের ভিতর দিয়ে প্রেমিকের দুর্বার পৌরুষের যে আনন্দঘন আস্বাদন পেতুম ফরাসী স্ত্রীজাতি তার থেকে চিরতরে বঞ্চিত হল। এখন থেকে ক্লীবের রাজত্ব। কল্পনা করতেও ‘ঘেন্নায়’ সর্বাঙ্গ রী রী করে ওঠে।

ভাবলুম, কোনো সর্দারজীকে এ বিষয়ে রায় জাহির করতে বলি। ফরাসী দাড়ি তার গৌরবের মধ্যাহ্নগগনেও সর্দারজীর দাড়িকে যখন হার মানাতে পারেনি তখন এদেশের মহিলামহলে নিশ্চয়ই এ সম্বন্ধে অনেক প্রশস্তি-তারিফ গাওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাবগতিক দেখে সাহস পেলুম না। এদেশে কোন্ কথায় কখন যে কার সৎ বেইজ্জ্বতী’ হয়ে যায়, আর ‘খুনসে তার বদলাই’ নিতে হয় তার হদীস তত জানিনে তুলনাত্মক দাড়িতত্ত্বের আলোচনা করতে গিয়ে প্রাণটা কুরবানি দেব নাকি? এরা যখন বেণীর সঙ্গে মাথা দিতে জানে তখন আলবৎ দাড়িবিহীন মুণ্ডও নিতে জানে।

সামনের বুড়ো সর্দারজীই প্রথম আলাপ আরম্ভ করলেন। ‘গোয়িঙ ফার?’ নয়, সোজাসুজি ‘কহাঁ জাইয়েগা?’ আমি ডবল তসলীম করে সবিনয় উত্তর দিলুম ভদ্রলোক ঠাকুরদার বয়সী আর জবরজঙ্গ দাড়ি-গোঁফের ভিতর অতিমিষ্ট মোলায়েম হাসি। বিচক্ষণ লোকও বটেন, বুঝে নিলেন নিরীহ বাঙালী কৃপাণবন্দুকের মাঝখানে খুব আরাম বোধ করছে না। জিজ্ঞাসা করলেন পেশাওয়ারে কাউকে চিনি, না, হটেলে উঠব। বললুম বন্ধুর বন্ধু স্টেশনে আসবেন, তবে তাকে কখনো দেখিনি, তিনি যে আমাকে কি করে চিনবেন সে সম্বন্ধে ঈষৎ উদ্বেগ আছে।

সর্দারজী হেসে বললেন, ‘কিছু ভয় নেই, পেশাওয়ার স্টেশনে এক গাড়ি বাঙালী নামে না, আপনি দু’মিনিট সবুর করলেই তিনি আপনাকে ঠিক খুঁজে নেবেন।

আমি সাহস পেয়ে বললুম, তা তো বটেই, তবে কিনা শর্ট পরে এসেছি—

সর্দারজী এবার অট্টহাস্য করে বললেন, শর্টে যে এক ফুট জায়গা ঢাকা পড়ে তাই দিয়ে মানুষ মানুষকে চেনে নাকি?

আমি আমতা আমতা করে বললুম ‘তা নয়, তবে কিনা ধুতিপাঞ্জাবী পরলে হয়ত ভালো হত।’

সর্দারজীকে হারাবার উপায় নেই। বললেন, ‘এও তো তাজ্জবকী বাৎ–‘পাঞ্জাবী’ পরলে বাঙালীকে চেনা যায়?’

আমি আর এগলুম না। বাঙালী ‘পাঞ্জাবী’ ও পাঞ্জাবী কুর্তায় কি তফাৎ সে সম্বন্ধে সর্দারজীকে কিছু বলতে গেলে তিনি হয়ত আমাকে আরো বোকা বানিয়ে দেবেন। তার চেয়ে বরঞ্চ উনিই কথা বলুন, আমি শুনে যাই। জিজ্ঞাসা করলুম, ‘সর্দারজী শিলওয়ার বানাতে ক’গজ কাপড় লাগে?

বললেন, ‘দিল্লীতে সাড়ে তিন, জলন্ধরে সাড়ে চার, লাহোরে সাড়ে পাঁচ, লালামুসায় সাড়ে ছয়, রাওলপিণ্ডিতে সাড়ে সাত, তারপর পেশাওয়ারে এক লক্ষে সাড়ে দশ, খাস পাঠানমুল্লুক কোহাট খাইবারে পুরো থান।

‘বিশ গজ!’

‘হ্যাঁ, তাও আবার খাকী শার্টিঙ দিয়ে বানানো।’

আমি বললুম, ‘এ রকম একবস্তা কাপড় গায়ে জড়িয়ে চলাফেরা করে কি করে? মারপিট, খুনরাহাজানির কথা বাদ দিন।‘

সর্দারজী বললেন, আপনি বুঝি কখনো বায়স্কোপে যান না? আমি এই বুড়োবয়সেও মাঝে মাঝে যাই। না গেলে ছেলেছোকরাদের মতিগতি বোঝবার উপায় নেই আমার আবার একপাল নাতি-নাত্নী। এই সেদিন দেখলুম, দু’শশা বছরের পুরোনো গল্পে এক মেমসায়েব ফ্রকের পর ফ্রক পরেই যাচ্ছেন, পরেই যাচ্ছেনমনে নেই, দশখানা না বানোখানা। তাতে নিদেনপক্ষে চল্লিশ গজ কাপড় লাগার কথা। সেই পরে যদি মেমরা নেচেকুঁদে থাকতে পারেন, তবে মদ্দা পাঠান বিশগজী শিলওয়ার পরে মারপিট করতে পারবে না কেন?

আমি খানিকটা ভেবে বললুম, ‘হক কথা; তবে কিনা বাজে খর্চা।

সর্দারজী তাতেও খুশী নন। বললেন, ‘সে হল উনিশবিশের কথা। মাদ্ৰাজী ধুতি সাত হাত, জোর আট; অথচ আপনারা দশ হাত পরেন।

আমি বললুম, দশ হাত টেকে বেশী দিন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরা যায়।

সর্দারজী বললেন, ‘শিলওয়ারের বেলাতেও তাই। আপনি বুঝি ভেবেছেন, পাঠান প্রতি ঈদে নূতন শিলওয়ার তৈরী করায়? মোটই না। ছোকরা পাঠান বিয়ের দিন শ্বশুরের কাছ থেকে বিশগজী একটা শিলওয়ার পায়। বিস্তর কাপড়ের ঝামেলা–এক জায়গায় চাপ পড়ে না বলে বহুদিন তাতে জোড়াতালি দিতে হয় না। ছিড়তে আরম্ভ করলেই পাঠান সে শিলওয়ার ফেলে দেয় না, গোড়ার দিকে সেলাই করে, পরে তালি লাগাতে আরম্ভ করে–সে যে-কোনো রঙের কাপড় দিয়েই হোক, পাঠানের তাতে বাছবিচার নেই। বাকী জীবন সে ঐ শিলওয়ার পরেই কাটায়। মরার সময় ছেলেকে দিয়ে যায়–ছেলে বিয়ে হলে পর তার শ্বশুরের কাছ থেকে নূতন শিলওয়ার পায়, ততদিন বাপের শিলওয়ার দিয়ে চালায়।

সর্দারজী আমাকে বোকা পেয়ে মস্করা করছেন, না সত্যি কথা বলছেন বুঝতে না পেরে বললুম, আপনি সত্যি সত্যি জানেন, না আপনাকে কেউ বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেছে?

সর্দারজী বললেন, ‘গভীর বনে রাজপুত্তরের সঙ্গে বাঘের দেখা বাঘ বললে, ‘তোমাকে আমি খাব। এ হ’ল গল্প, তাই বলে বাব মানুষ খায় সেও কি মিথ্যে কথা?

অকাট্য যুক্তি। পিছনে রয়েছে আবার সত্তর বৎসরের অভিজ্ঞতা। কাজেই রণে ভঙ্গ দিয়ে বললুম, আমরা বাঙালী, পাজামার মর্ম আমরা জানব কি করে? আমাদের হল বিষ্টিবাদলার দেশ, খালবিল পেরতে হয়। ধুতিলুঙ্গী যে রকম টেনে টেনে তোলা যায়, পাজামাতে তো তা হয় না।

মনে হয় এতক্ষণে যেন সর্দারজীর মন পেলুম। তিনি বললেন, ‘হাঁ, বর্মা মালয়েও তাই। আমি ঐ সব দেশে ত্রিশ বৎসর কাটিয়েছি।

তারপর তিনি ঝাড় বেঁধে নানা রকম গল্প বলে যেতে লাগলেন। তার কতটা সত্য কতটা বানিয়ে বলা সে কথা পরখ করার মত পরশ পাথর আমার কাছে ছিল না, তবে মনে হল ঐ বাঘের গল্পের মতই। দু’চারজন পাঠান ততক্ষণে সর্দারজীর কাছে এসে তাঁর গল্প শুনতে আরম্ভ করেছে— পরে জানলুম এদের সবাই দু’দশ বছর বর্মা মালয়ে কাটিয়ে এসেছে এদের সামনে সর্দারজী ঠিক তেমনি-ধারা গল্প করে যেতে লাগলেন। তাতেই বুঝলুম, ফকির অংশটা কমই হবে।।

আড্ডা জমে উঠল। দেখলুম, পাঠানের বাইরের দিকটা যতই রসকষহীন হোক না কেন, গল্প শোনাতে আর গল্প বলাতে তাদের উৎসাহের সীমা নেই। তর্কাতর্কি করে না, গল্প জমাবার জন্য বর্ণনার রঙতুলিও বড় একটা ব্যবহার করে না। সব যেন উড়কাটের ব্যাপার— সাদামাটা কাঠখোট্টা বটে, কিন্তু ঐ নীরস নিরলঙ্কার বলার ধরনে কেমন যেন একটা গোপন কায়দা রয়েছে যার জোর মনের উপর বেশ জোর দাগ কেটে যায়। বেশীর ভাগই মিলিটারী গল্প, মাঝে মাঝে ঘরোয়া অথবা গোষ্ঠী-সংঘর্ষণের ইতিহাস। অনেকগুলো গোষ্ঠীর নামই সেদিন শেখা হয়ে গেল আফ্রিদী, শিনওয়ারী, খুগিয়ানী আরো কত কি। সর্দারজী দেখলুম এদের হাড়হ সবকিছুই জানেন, আমার সুবিধের জন্য মাঝে মাঝে টীকাটিপ্পনী কেটে আমাকে যেন আস্তে আস্তে ওয়াকিফহাল করে তুলছিলেন। ফুরসত্মাফিক আমাকে একবার বললেন, ‘ইংরেজফরাসীর কেচ্ছা পড়ে পড়ে তো পরীক্ষা পাশ করেছেন, অন্য কোনো কাজে সেগুলো লাগবে না। তার চেয়ে পাঠানদের নামবুনিয়াদ শিখে নিন, পেশাওয়ার খাইবারপাসে কাজে লাগবে।

সর্দারজী হক কথা বলেছিলেন।

পাঠানদের গল্প আবার শেষ হয় প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়ে। ভাঙা ভাঙা পশতু উহু পাঞ্জাবী মিশিয়ে গল্প শেষ করে বলবে, ‘তখন তো আমার কুছ মালুমই হল না, আমি যেন শরাবীর বেহুশীতে মশগুল। পরে সব যখন সাফফা, বিলকুল ঠাণ্ডা, তখন দেখি বাঁ হাতের দুটো আঙুল উড়ে গিয়েছে। এই দেখুন।’ বলে বাইশগজী শিলওয়ারের ভাজ থেকে বাঁ হাতখানা তুলে ধরল।

আমি দরদ দেখাবার জন্য জিজ্ঞাসা করলুম, হাসপাতালে কতদিন ছিলেন?

সুবে পাঠানিস্থান এক সঙ্গে হেসে উঠল; বাবুজীর অজ্ঞতা দেখে ভারী খুশী।

পাঠান বলল, হাসপাতাল আর বিলায়তী ভাগ্দর কহ, বাবুজী? বিবি পট্টি বেঁধে দিলেন, দাদীমা কুচকুচ হলদভী লাগিয়ে দিলেন, মোল্লাজী ফু-ফুকার করলেন। অব্ দেখিয়ে, মালুম হয় যেন আমি তিন আঙুল নিয়েই জন্মেছি।

পাঠানের ভগিনীপতিও গাড়িতে ছিল; বলল, ‘যে-তিনজনের কথা বললে তাদের ভয়ে অজরঈল (যমদূত) তোমাদের গাঁয়ে ঢোকে না— তোমাকে মারে কে? সবাই হাসল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ওর দাদীজানের কেচ্ছা ওকে বলতে বলুন না। পাহাড়ের উপর থেকে পাথরের পর পাথর গড়িয়ে ফেলে কি রকম করে একটা পুরাদস্তুর গোরা পল্টনকে তিন ঘণ্টা কাবু করে রেখেছিলেন।

সেদিন গল্পের প্লাবনে রৌদ্র আর গ্রীষ্ম দুই-ই ডুবে গিয়েছিল। আর কী খানাপিনা! প্রতি স্টেশনে আর কেউ না কেউ কিছু না কিছু কিনবেই। চা, শরবৎ, বরফজল, কাবাব রুটি, কোনো জিনিসই বাদ পড়ল না। কে দাম দেয়, কে খায় কিচ্ছু বোঝবার উপায় নেই। আমি দু’একবার আমার হিস্যা দেবার চেষ্টা করে হার মানলুম। বারোজন তাগড়া পাঠানের তির্যকব্যুহ ভেদ করে দরজায় পৌঁছবার বহু পূর্বেই কেউ না কেউ পয়সা দিয়ে ফেলেছে। আপত্তি জানালে শোনে না, বলে, বাবুজী এই পয়লা দফা পাঠানমুলুকে যাচ্ছেন,

হয় আমরা একটু মেহমানদারী করলুমই। আপনি পেশাওয়ারে আড়া গাড় ন, আমরা সবাই এসে একদিন আচ্ছা করে খানাপিনা করে যাবো। আমি বললুম, ‘আমি পেশাওয়ারে বেশী দিন থাকব না। কিন্তু কার গোয়াল, কে দেয় ধুয়ো। সর্দারজী বললেন, ‘কেন বৃথা চেষ্টা করেন? আমি বুড়ামানুষ, আমাকে পর্যন্ত একবার। পয়সা দিতে দিল না। যদি পাঠানের আত্মীয়তা-মেহমানদারী বাদ দিয়ে এদেশে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার একমাত্র উপায় কোন পাঠানের সঙ্গে একদম একটি কথাও না বলা। তাতেও সব সময় ফল হয় না।

পাঠানের দল আপত্তি জানিয়ে বলল, ‘আমরা গরীব, পেটের ধান্দায় তামাম দুনিয়া ঘুরে বেড়াই, আমরা মেহমানদারী করব কি দিয়ে?’

সর্দারজী আমার কানে কানে বললেন, দেখলেন বুদ্ধির বহর? মেহমানদারী করার ইচ্ছাটা যেন টাকা থাকা না-থাকার উপর নির্ভর করে।’

No comments