বোকা ভূত – মজার গল্প

বোকা ভূত – মজার গল্প

একদিন এক বোকা ভূত শেওড়া গাছের ডালে বসে ছিল, এক দুষ্টু ছেলে শেওড়া গাছের নিচে যাচ্ছিল। ভূত তো ভাবল এইতো সুযোগ। লাফ দিয়ে সামনে গিয়ে তার সামনে দাঁড়াল।

চকচকে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে বলল, এখন তোর ঘাড় মটকাব।কিন্তু দুষ্ট ছেলেটা বলল, “তুই আমার কি ঘাড় মটকাবিরে? জানিস আমি কে?”। বোকা ভুত বলল“কে তুই?” “আমি হলাম ভূতের বাপ টুত।”“তাই নাকি? তুই টুত। তোর কী আছে যে, তুই আমাকে ভয় দেখাস?”। দুস্টু ছেলেটা বলল“কারণ আমি যা খেতে পারি তা তুই খেতে পারবি না। তাই নাকি, দেখা তো?”

দুষ্ট ছেলেটা তার পোটলা থেকে দুটো ক্ষুদ্র মাটির পাতিল বের করল। এক পাতিলে ছিল দই, আর এক পাতিলে সাদা চুন। দুষ্ট ছেলেটা দইয়ের পাতিল থেকে এক চামচ দই খেল। আর চুনের পাতিলটা বোকা ভূতের হাতে দিয়ে বলল, “এইবার নে, তুই খা দেখি।”বোকা ভূত তো আর এত কিছু বোঝেনি। সে যেই এক চামচ মুখে দিয়েছে অমনি ওরে বাবা গো ওরে মা গো, বাঁচাও গো বলে চিৎকার করে হাত থেকে সব ফেলে দিল আর দুষ্ট ছেলেটার পায়ে পড়ে গেল।

এবার ছেলেটা জোরে অট্টহাসি দিয়ে বলল, “হীরা জহরত যা আছে এখুনি বের কর।”

No comments