রাখাল বালকের একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

রাখাল বালকের একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

অনেক আগের কথা, এক ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিল, যার স্ত্রী-সন্তান বলতে কেউ ছিল না।

একদা রাত্রে তিনি তার সকল কর্মচারীকে খানার দাওয়াত দিলেন। আহার শেষে প্রত্যেকের সামনে রাখলেন, এক কপি কুরআন ও আরেকটি টাকার থলি।

অতঃপর তিনি তাদেরকে যে কোনো একটি বেছে নিতে বললেন।

সর্বপ্রথম তার প্রহরী এগিয়ে আসল, তাকে বললেন, “বেছে নাও।”

প্রহরী বললো, আমি তো কুরআন বেছে নেওয়ার আশা করেছিলাম, কিন্তু কীভাবে সেটা পড়তে হয় তা আমি জানি না, তাই আমার জন্য টাকার থলেটি উপকারী হবে। অবশেষে সে টাকার থলে বেছে নিল।

এরপর আসলো তার কামলা, তাকেও বেছে নিতে বললেন, সে বললো, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। যদি এমন না হত, তবে আমি কুরআনই বেছে নিতাম।

তারপর তিনি বাবুর্চীকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে বললো, কুরআন পড়া আমার কাছে খুবই পছন্দনীয়, তবে আমার অনেক ব্যস্ততা, পড়ার মতো সময়ই পাই না, তাই আমি টাকার থলে বেছে নিলাম।

শেষ পালাটি এলো রাখালের জন্য, এই ছেলেটি খুব দরিদ্র, তিনি তাকে বললেন: তুমি কোনটি বেছে নিবে?

রাখাল উত্তর দিল, এটা সত্য যে, আমি দরিদ্র, তবে আমি কুরআনই বেছে নেব।

কারণ, আমার মা আমাকে বলেছিলেন, মহান আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া একটি শব্দও সোনার চেয়েও দামী ও মধুর চেয়েও মিষ্টি।

অবশেষে রাখালটি কুরআনই বেছে নিল। অতঃপর উহা খোলার পর সে এতে আরও দুটি খাম দেখতে পেল। প্রথম খামটিতে টেবিলে যে পরিমাণ টাকা ছিল তার দশগুণ টাকা ছিল।

আর দ্বিতীয়টিতে ছিল একটি অসিয়তনামা, যাতে ছিল তার মৃত্যুর পর সকল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী সেই হবে।

অতঃপর ধনাঢ্য লোকটি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার প্রতি সুধারণা রাখে, আল্লাহ তাআলা তাকে বঞ্চিত করেন না।

No comments