কাউকে বোঝার জন্য এক মুহূর্ত যথেষ্ট নয়


এক ভদ্রলোক তার ২৫ বছর বয়সের ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে করে বাসায় ফিরছিলেন। ছেলেটা ট্রেনের জানলা দিয়ে আশপাশের প্রকৃতি দেখছে।

ছেলেঃ বাবা কি সুন্দর দেখ! ট্রেনের বাইরের গাছগুলো পেছনের দিকে সরে যাচ্ছে।

বাবাঃ হ্যাঁ বাবা। খুব সুন্দর।

কিছুক্ষণ পর …

ছেলেঃ বাবা দেখ কি সুন্দর পুকুর! পুকুরের কাছে ঐ গুলো কি পাখি বাবা?

বাবাঃ ও গুলো মাছরাঙ্গা পাখি।

ট্রেনে তাদের পাশের সিটে এক ভদ্রলোক বসেছিলেন। তিনি অনেকক্ষণ ধরেই বাবা ছেলের কথোপকথন শুনছিলেন। তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না যে এই ২৫ বছরের ছেলেটা কি করে শিশুদের মত আচরণ করছে। সামান্য কিছুতেই আনন্দে ফেটে পড়ছে। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি পড়া শুরু করল । বৃষ্টির কিছু ফোঁটা এসে ছেলেটির হাতের ওপর পড়ল।

ছেলেঃ বাবা দেখ বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে! বৃষ্টির ফোঁটা আমার হতের উপর পড়েছে।

এমন সময় সেই লোকটি চুপ করে থাকতে পারল না। লোকটি ছেলেটির বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন-

লোকটিঃ “আপনার ছেলে বয়স হিসেবে যথেষ্ট অপরিণত। ওকে কোন ভাল ডাক্তারের কাছে কেন নিয়ে যান না? ডাক্তারের পরামর্শে ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।”

বাবাঃ আমি ওকে হাসপাতাল থেকেই বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। ওর চোখের অপারেশন হওয়ার পর আজ সে জীবনে প্রথম বার চোখে দেখতে পাচ্ছে। এমন সময় আবেগে তার চোখ বেয়ে আনন্দের কান্না গড়িয়ে পড়ল।

No comments