শিক্ষণীয় গল্প: আত্মমূল্যায়ন

একদিন এক ছোট্ট ছেলে পাড়ার ঔষধ দোকানে গিয়ে একটি বাক্স টেনে আনল দোকানের টেলিফোনটি নাগাল পাওয়ার জন্য। তারপর সে বাক্সটির উপর উঠে দাঁড়াল এবং টেলিফোনটি হাতে নিয়ে একটি নাম্বারে ডায়াল করল।

দোকানদার ঘটনাটি লক্ষ্য করল এবং কথোপকথনটি শোনার চেষ্টা করলঃ

ছেলেঃ জনাবা, আপনি কি আমাকে আপনার বাগানের ঘাস কাটার কাজটি দিতে পারবেন?

মহিলাঃ (ফোনের অন্য পাশ থেকে) ইতোমধ্যে বাগানের ঘাস কাটার জন্য একজন কর্মচারী আছে।

ছেলেঃ জনাবা, যে এখন আপনার বাগানের ঘাস কাটে আমি তার চেয়ে অর্ধেক দামে কেটে দিব।

মহিলাঃ যে এখন আমার বাগানের ঘাস কাটে, আমি তার কাজে খুবই সন্তুষ্ট।

ছেলেঃ (আরও বেশি আন্তরিকতার সাথে) জনাবা, আমি আপনার উঠান এবং বাড়ির চারপাশও ঝাড়ু দিয়ে দিব। ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন আপনি সবচেয়ে গোছানো বাড়িটি পাবেন।

মহিলাঃ থাক, ধন্যবাদ।

মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে ছেলেটি টেলিফোন নামিয়ে রাখল। দোকান মালিক, যিনি ঘটনাটি দেখছিলেন, তাড়াতাড়ি ছেলেটির কাছে ছুটে গেলেন।

দোকান মালিকঃ বাবা, তোমার দৃষ্টিভঙ্গী আমার খুব পছন্দ হয়েছে; তোমার ইতিবাচক মনোভাব আমার ভাল লেগেছে এবং আমি তোমাকে একটি কাজ দিতে চাই।

ছেলেঃ থাক, ধন্যবাদ।

দোকান মালিকঃ কিন্তু তুমি তো চাকরিটি পাওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করছিলে।

ছেলেঃ না জনাব, আমি শুধু আমার কাজর কতটা ভাল হচ্ছে তা মূল্যায়ন করছিলাম। আমিই সে লোক যে ঐ মহিলার বাগানে কাজ করি।

এটাকেই বলা হয় আত্মমূল্যায়ণ, যা আপনাকে আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে উৎসাহিত করে এবং আপনার দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দেয়।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,

“যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান পাবে এবং সেদিন তারা গুরুতর অস্থিরতা থেকে নিরাপদ থাকবে।”
[সূরা আন-নামলঃ ৮৮]

No comments