নীতি গল্প: অলসতা করলে রিজিক মিলে না



এক ব্যক্তি একদিন একটি বুনো বিড়ালকে দেখল যে, তার হাত-পা কাটা। তা দেখে সে অবাক হয়ে গেল যে, এটা কেমন করে বাঁচে। কিভাবে নিজের খাদ্য সংগ্রহ করে। এটা ভেবে সে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে ধ্যানে মগ্ন হয়ে রইল। কিছুক্ষন পর দেখল যে, একটি বাঘ একটি খেক শিয়াল শিকার করে নিয়ে এলো এবং ঐখানে বসে শিয়ালটি খেল।

বাদবাকী যা ছিলো, ঐখানে ফেলে চলে গেল। তা দেখে লোকটির দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাল যে, রিযিকদাতা যাকে ইচ্ছে রিযিক পৌছে দেন। রিযিক নিজের শক্তির ওপর অর্জন করা নির্ভর করে না।

তা ভেবে সেখান হতে রওয়ানা হয়ে গেল এবং মনে মনে স্থির করল যে, পিঁপড়ার ন্যায় নির্জনে এক কোণে গিয়ে বসে থাকব। কয়েকদিন নির্জনে বসে আল্লাহর পানে চেয়ে রইলো যে, তিনি রিযিক পাঠিয়ে দেবেন। তার জন্য কোন ব্যক্তি করল না অর্থাৎ নিজের আত্নীয়-স্বজন বা অন্য কেউই তাকে খাদ্য দিল না এবং কেউ তার জন্য চিন্তাও করল না।

অবশেষে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। তখন আর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইল, তখন সে একটি আওয়াজ শুনতে পেল, হে কমিনা! উঠ যাও এবং হিংস্র বাঘের ন্যায় হও, নিজেকে হাত-পা কাটা বিড়ালের ন্যায় বানাইও না।

এভাবে চেষ্টা কর যেন বাঘের ন্যায় কামাই করে অন্যকে খাওয়াইতে পার। বিড়ালের ন্যায় জুটা খেয়ে কেন জীবন ধারন করবে?

যার ঘাড় বাঘের ন্যায় মোটা, সে যদি বিড়ালের ন্যায় পড়ে থাকে,তবে সে কুকুরের চেয়েও অধম। নিজের হাতে জোরে কামাই কর, অন্যকে খাওয়াও। অন্যোর উপর নির্ভর কর না। মানুষের মত কষ্ট স্বীকার কর, অন্যকে শান্তি দাও।

No comments